১৩ কঠিন রোগ থেকে মুক্তি মিলবে মাত্র দুটি ডাবেই

গরমে স্বস্তি দিতে ডাবের পানির জুড়ি নেই। তাছাড়া ডাবের পানি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। বলা হয়, ডাবের পানি দুধের চেয়েও বেশি পুষ্টিকর। এর কারণ হচ্ছে, এতে কোলেস্টেরল ও চর্বি থাকে না।

প্রাকৃতিক এ সুপেয় পানি ফুড কালার এবং চিনি মুক্ত থাকে।

তাছাড়া এতে আছে ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং সোডিয়াম। যা আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখে। এছাড়াও এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা পুরো শরীরকে শক্তি দেয়।

আমাদের শরীরের নানা পুষ্টি সরবরাহ করে মন ও শরীরকে সুস্থ রাখে একটি ডাব। আমাদের সবারই সপ্তাহে অন্তত দু’গ্লাস বা দুটি ডাবের পানি পান করা উচিত। ডাবের পানিতে থাকা ভিটামিন-ই এবং অন্যান্য চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন সমৃদ্ধ যা শরীরের মেদ কমিয়ে ফিট থাকতে সাহায্য করে।

চলুন এবার জেনে নেয়া যাক নিয়মিত ডাবের পানি পানে আরো যেসব উপকারিতা মিলবে সে সম্পর্কে-

>> ইউরিন ইনফেকশন দূর করে।

>> থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়।

>> রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

>> হজম ক্ষমতা বাড়ায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

>> ক্লান্তি দূর করে, কর্মশক্তিও বাড়াতে সাহায্য করে।

>> ত্বকের তৈলাক্তভাব, ব্রণ, রোদে পোড়া দাগ দূর হয়।

>> ডাবের পানিকে খাবার স্যালাইনের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

>> ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানির ঘাটতি দূর করে ভারসাম্য বজায় রাখে।

>> রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কম থাকে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

>> শরীরের জন্য উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

>> অ্যান্টিএজিং উপাদান থাকায় শরীরের কোষকে বুড়িয়ে যেতে দেয় না। তাই সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না, তারুণ্য ধরে রাখে।

>> ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং ডাবের পানিতে যে প্রাকৃতিক শর্করা ও মিনারেল রয়েছে তা শরীরকে শীতল ও আর্দ্র রাখে। এজন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যোদ্ধাদের স্যালাইনের বিকল্প হিসেবে ডাবের পানি দেওয়া হতো।

>> এখানেই শেষ নয়, ডাবের পানিতে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁত এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে শুধু গরমকাল নয়, সারা বছর যদি নিয়ম করে ডাবের পানি খাওয়া যায়, তাহলে একাধিক রোগ শরীরের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।